নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের খেলা। এ জন্য বড়ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশ ও ক্লাবগুলোকে। ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ক্ষতির হুমকির মুখে আছে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দর্শকশূণ্য বিশ্বকাপ যদি আয়োজনও করে তাহলে দেশটির ক্ষতি হতে পারে ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয় ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় এক হাজার ৬০০ কোটিও বেশি।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী রিচার্ড কোলবেক দেশটির একটি রেডিও চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে তাদের সমস্যা হবে না। কিন্তু দর্শকশূন্য গ্যালারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতা আয়োজনে অনেক টাকা ক্ষতি হবে। তিনি জানান, দর্শকশূন্য গ্যালারিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার লোকসান হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
রিচার্ড কোলবেক বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যও মুখিয়ে রয়েছি। সূচি নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। নানা ধরনের বিধি মেনে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু মাঠে দর্শকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আছে। সেটা মাথায় রাখতে হবে।’
অন্যদিকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডও (ইসিবি) বড় ধরনের হুমকির মুখে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সংকটময় সময়ে আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে সরকারের পক্ষ থেকে একটি কমিটি করা হয়েছিল। সেখানে ইসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টম হ্যারিসন জানান, ৮০০ দিনের ক্রিকেট ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা আছে তাদের।
২৯ মে পর্যন্ত ক্রিকেট স্থগিত রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি উন্নতির বদলে অবনতি হওয়া সেই সীমা বেড়েছে ১ জুলাই পর্যন্ত। টম হ্যারিসন বলেন, ‘এই বছর ঘরের মাঠে আর কোনো ক্রিকেট না হলে সর্বোচ্চ ৩৮ কোটি পাউন্ড ক্ষতি হতে পারে (বাংলাদেশি মুদ্রা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা)। যদি পরিস্থিতি ভালো হয় তবে হয়তো এ বছর কিছু টেস্ট হতে পারে। সেরকম হলে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে আনা যাবে।’